• বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১২:২৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
বিএনপির দারুস সালাম থানা শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক সায়েম বহিষ্কার স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা হত্যার নিন্দা জানিয়েছেন মির্জা ফখরুল নির্দিষ্ট ফেডারেল চাকরিতে ডিগ্রির বাধ্যবাধকতা তুলে দিতে চান কমলা কারিগরি শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির জন্য ব্লকড অ্যাকাউন্ট সংশোধনের নির্দেশনা মির্জা ফখরুলের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনারের বৈঠক অতি দ্রুত যেন সংস্কারগুলো করা হয়: অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল ২৭৯ সিম কার্ড ও ৭৬ মুঠোফোনসহ হাতিয়ার ইউপি চেয়ারম্যান আটক আবু সাঈদ হত্যা: বরখাস্ত দুই পুলিশ সদস্যের ৪ দিনের রিমান্ড বিটিআরসির চেয়ারম্যান হলেন মেজর এমদাদ উল বারী সিরাজগঞ্জে দুই ভাইকে হত্যায় তিনজনের মৃত্যুদণ্ড
নোটিশ ::
Wellcome to our website...

গণঅভ্যুত্থানে নিহত ৬৩১, আহত ১৯২০০

রিপোর্টারের নাম / ৪৬ বার
আপডেট সময় :: সোমবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অন্তত ৬৩১ জন ছাত্র-জনতা প্রাণ হারিয়েছেন এবং আহত হয়েছেন ১৯ হাজার ২০০ জনের বেশি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৪৫০ জনেরও বেশি মানুষকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল এবং এই ২১ দিনের মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৮১ জন মারা গেছেন।

এই আন্দোলনে হতাহতদের পরিপূর্ণ তালিকা তৈরি করতে গত ১৫ আগস্ট স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় একটি কমিটি গঠন করে। কমিটি বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ে তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।

আহতদের মধ্যে ১৬ হাজার জনের বেশি সারা দেশে সরকারি হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন এবং অন্তত তিন হাজার জন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।

স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সাবেক সিনিয়র সচিব ও কমিটির প্রধান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবির বলেন, বেসরকারি হাসপাতাল থেকে তথ্য সংগ্রহ করা চ্যালেঞ্জিং। কারণ, তারা সরকারি হাসপাতালের মতো কঠোরভাবে ডেটা সংরক্ষণ করে না। কিছু ক্ষেত্রে ভুক্তভোগীদের পরিবারের সদস্যরা ভয়ে হাসপাতালে নাম রেজিস্ট্রি করতে চায় না।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, এটি একটি খসড়া তালিকা। মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এর ডেটা আরও আপডেট করছেন। কাজ সম্পন্ন হয়ে গেলে এই তালিকা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে এবং সেখানে আরও বেশ কিছু অতিরিক্ত তথ্য সংযুক্ত থাকবে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বরিশাল, খুলনা, ময়মনসিংহ ও রংপুর বিভাগের বেসরকারি ক্লিনিকে যারা চিকিৎসা নিয়েছেন তাদের বিষয়ে সরকারকে কোনো তথ্য দেওয়া হয়নি।

ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি ১১ হাজার মানুষ আহত হয়েছেন। চট্টগ্রামে আহতের সংখ্যা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ, দুই হাজার।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঢাকা বিভাগে প্রাণহানিও ঘটেছে সর্বোচ্চ। এ বিভাগে নিহত হয়েছেন ৪৭৭ জন। নিহতের সংখ্যা সবচেয়ে কম বরিশালে, একজন।

চট্টগ্রাম ও খুলনায় নিহতের সংখ্যা যথাক্রমে ৪৩ ও ৩৯ জন।

যাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তাদের মধ্যে তিন হাজার ৪৮ জনের অবস্থা ছিল গুরুতর। তাদের অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হয়েছে। এ ছাড়া, কমপক্ষে ৫৩৫ জন তাদের আঘাতের কারণে স্থায়ীভাবে শারীরিক অক্ষম হয়ে পরেছেন।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অধীনে ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (এমআইএস) আন্দোলনে আহত ও নিহতদের তালিকা তৈরি করছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর