• বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৩৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
বিএনপির দারুস সালাম থানা শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক সায়েম বহিষ্কার স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা হত্যার নিন্দা জানিয়েছেন মির্জা ফখরুল নির্দিষ্ট ফেডারেল চাকরিতে ডিগ্রির বাধ্যবাধকতা তুলে দিতে চান কমলা কারিগরি শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির জন্য ব্লকড অ্যাকাউন্ট সংশোধনের নির্দেশনা মির্জা ফখরুলের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনারের বৈঠক অতি দ্রুত যেন সংস্কারগুলো করা হয়: অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল ২৭৯ সিম কার্ড ও ৭৬ মুঠোফোনসহ হাতিয়ার ইউপি চেয়ারম্যান আটক আবু সাঈদ হত্যা: বরখাস্ত দুই পুলিশ সদস্যের ৪ দিনের রিমান্ড বিটিআরসির চেয়ারম্যান হলেন মেজর এমদাদ উল বারী সিরাজগঞ্জে দুই ভাইকে হত্যায় তিনজনের মৃত্যুদণ্ড
নোটিশ ::
Wellcome to our website...

বাংলাদেশ-জাপান সম্পর্ক আরও প্রসারিত হোক

রিপোর্টারের নাম / ২০৯ বার
আপডেট সময় :: বৃহস্পতিবার, ৬ জুন, ২০১৯

বেশ কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্পে অর্থায়নের জন্য জাপানের সঙ্গে ২৫০ কোটি ডলারের উন্নয়ন সহায়তা চুক্তি করেছে বাংলাদেশ।

জাপান সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের উপস্থিতিতে বুধবার টোকিওতে এ চুক্তি সই হয়। এর আগে দু’দেশের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে অনুষ্ঠিত হয় দ্বিপক্ষীয় বৈঠক।

জানা যায়, বাংলাদেশের উন্নত দেশ হওয়ার স্বপ্ন পূরণে জাপানের সহায়তা অব্যাহত রাখার আশ্বাস দিয়েছেন শিনজো আবে। এছাড়া মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের দ্রুত নিজ দেশে প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা করতে প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহায়তা দেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। এসবের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ-জাপান সম্পর্ক আরও জোরদার হবে বলে আমাদের বিশ্বাস।জাপান বাংলাদেশের পরীক্ষিত বন্ধুরাষ্ট্র। স্বাধীনতা লাভের পর থেকেই বাংলাদেশের উন্নয়নে সহায়তা দিয়ে আসছে জাপান। দেশটি এককভাবে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় দ্বিপক্ষীয় উন্নয়ন সহযোগী।

১৯৭২ সাল থেকে এ পর্যন্ত দেশটির কাছ থেকে বাংলাদেশ ১ হাজার ১৩০ কোটি ডলারের সহায়তা পেয়েছে। জাপানের সহায়তার একটি উল্লেখযোগ্য উদাহরণ হল বঙ্গবন্ধু যমুনা বহুমুখী সেতু। বর্তমানে দেশের সবচেয়ে বড় প্রকল্পগুলোর দুটি- মাতারবাড়ী বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও বন্দর এবং মেট্রোরেল প্রকল্পের বেশির ভাগ অর্থ দিচ্ছে জাপান।

তাই আমরা আশা করব, জাপান ভবিষ্যতেও বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য নিরবচ্ছিন্নভাবে সহযোগিতা করে যাবে। বিশেষ করে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশের কাতারে নিয়ে যাওয়ার যে লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে, তা পূরণে জাপান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। আশার কথা, জাপানের প্রধানমন্ত্রী এ ব্যাপারে নিশ্চয়তাও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে।জাপানের সঙ্গে বাণিজ্য সম্প্রসারণেরও যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। জাপান সরকারের উন্নয়ন সহায়তার পাশাপাশি জাপানি কোম্পানিগুলো বাংলাদেশে বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে এগিয়ে আসতে পারে। একই সঙ্গে জাপানের বাজারেও বাংলাদেশি পণ্যের রফতানি বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের একটি বড় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ অংশীদার হয়ে উঠতে পারে জাপান। উল্লেখ্য, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর আজকের উত্থানের পেছনে জাপানের ভূমিকাকে অনেক বড় বলে মনে করা হয়। জাপান অনেক দিন ধরেই চীনের পাশাপাশি অন্যান্য দেশে কারখানা করার ওপর জোর দিচ্ছে, যাকে ‘চীন প্লাস ওয়ান’ নীতি বলা হয়। বাংলাদেশের উচিত যেসব ক্ষেত্রে নিজেদের সক্ষমতা কম, সেসব ক্ষেত্রে জাপানিদের বিনিয়োগে উৎসাহিত করা।

চীন, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও ফিলিপাইন আজ যে অবস্থানে পৌঁছেছে, তার পেছনে বড় অবদান রয়েছে জাপানিদের। জাপানি কোম্পানিগুলো ওইসব দেশে কারখানা স্থাপন ও প্রযুক্তি হস্তান্তর করেছে। এতে স্থানীয় শিল্পের সক্ষমতা তৈরি হয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তি ও সমুদ্রসম্পদ আহরণেও সহযোগিতা করতে পারে জাপান। জাপানের সহযোগিতায় এভাবেই আমরা অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটাতে পারি। আশার কথা, জাপানের বিভিন্ন কোম্পানি এখন বাংলাদেশে ব্যবসায় আগ্রহ দেখাচ্ছে। দেশে জাপানের বিনিয়োগ বেড়েছে, জাপানেও বাংলাদেশের রফতানি বেড়েছে। এ প্রবণতাটি যেন অব্যাহত থাকে এবং টেকসই হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে আমাদের নীতিনির্ধারকদের। সামনের দিনগুলোতে বাংলাদেশ-জাপান সম্পর্ক আরও প্রসারিত হবে, এটাই কাম্য।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর