সিলেটের গোলাপগঞ্জে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের বিরুদ্ধে আরও একটি হত্যা মামলা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে সিলেটের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালত-২–এ মামলাটি করেন নিহত জয় আহমেদের ভাই মনোয়ার মিয়া।
ছাত্র-জনতার ওপর গুলিবর্ষণের অভিযোগে সিলেটে গতকাল সাবেক এক প্রতিমন্ত্রী, সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র, সাবেক এক সংসদ সদস্যসহ আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে আদালতে আরেকটি মামলা হয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে জয় আহমেদকে হত্যার অভিযোগে হওয়া মামলায় সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। গোলাপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মনজুর কাদির শাফি চৌধুরী, গোলাপগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আমিনুল ইসলাম, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাহেল, তাঁর ভাই রুমেল সিরাজ, উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) অভিজিৎ চৌধুরী, থানার সাবেক ওসি মাছুদুল আমিনসহ ৬৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ মামলায় ২০০ থেকে ৩০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
মামলার আরজিতে উল্লেখ করা হয়, ৪ আগস্ট গোলাপগঞ্জের বারকোট এলাকায় ছাত্র–জনতার আন্দোলন চলাকালে গুলিবর্ষণ করা হয়। এ সময় আসামিরা নিরস্ত্র ছাত্র-জনতার ওপর গুলিসহ ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা চালান। একপর্যায়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা ধাওয়া দিলে আন্দোলনকারীরা বিভিন্ন দিকে চলে যান। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে জয় আহমেদ ঘটনাস্থলে পড়ে ছিলেন। পরে তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বাদীর আইনজীবী মোহাম্মদ সোলাইমান মিয়া বলেন, আদালত মামলাটি গোলাপগঞ্জ থানাকে এফআইআর হিসেবে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
সিলেটে সাবেক প্রতিমন্ত্রী, মেয়র ও সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা
ছাত্র-জনতার ওপর গুলিবর্ষণের অভিযোগে সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট প্রথম আদালতে গতকাল দুপুরে মামলা করেছেন সিলেট নগরের আরামবাগ এলাকার বাবুল মিয়া। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী, সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমানসহ ৪১ জনের নাম উল্লেখ করে মামলাটি করা হয়। এ ছাড়া মামলায় অজ্ঞাত ২৫০ থেকে ৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার আরজিতে উল্লেখ করা হয়, ৪ আগস্ট সিলেট নগরের কোর্ট পয়েন্ট এলাকায় ছাত্র-জনতার ওপর অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হামলা ও গুলি চালান। এতে অনেকেই গুলিবিদ্ধ হন।
মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী আবদুল কাইয়ুম জানান, আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে সিলেট কোতোয়ালি থানা–পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।