গোপালগঞ্জে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী ও রওশন আরা রত্নাসহ নেতা-কর্মীদের ওপর নৃশংস হামলা, সংগঠনের এক কেন্দ্রীয় নেতাকে হত্যার ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শুক্রবার সন্ধ্যায় এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন হলেও পরাজিত শক্তির দোসররা দেশে এখনো নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারায় লিপ্ত রয়েছে। তারা গভীর ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে।’
মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘অবৈধ আওয়ামী শাসনামলে এই সন্ত্রাসীরা অনেক কালোটাকা উপার্জন করেছে। সেই কালোটাকা তারা এখন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে কাজে লাগাচ্ছে। ষড়যন্ত্রকারীরা ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক বিজয়কে মেনে নিতে পারছে না বলেই দেশকে অস্থিতিশীল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। এ জন্যই বিএনপি এবং অন্যান্য সমমনা গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীসহ জনগণের ওপর বর্বরোচিত হামলা চালিয়ে খুন ও তাঁদের গুরুতর জখম করা হচ্ছে। গোপালগঞ্জে এস এম জিলানীর গাড়িবহরে বর্বরোচিত হামলা চালিয়ে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক মো. শওকত আলী দিদারকে খুন করা হয়েছে। এ ছাড়া অনেক নেতা-কর্মীকে গুরুতর আহত করেছে। এ ঘটনা একটি গভীর চক্রান্তের বহিঃপ্রকাশ। এই সন্ত্রাসীদের কঠোর হস্তে দমন করার কোনো বিকল্প নেই।’
বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব হামলাকারী দুষ্কৃতকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানান। তিনি নিহত ব্যক্তির বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনাসহ তাঁর পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন।