আন্তর্জাতিক ডেস্ক:পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মুক্তির আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ। গতকাল সোমবার সংস্থাটির একদল বিশেষজ্ঞ অবিলম্বে এবং নিঃশর্তে ইমরান খানের মুক্তি দাবি করেন। তারা বলছেন, ইমরান খানকে নিয়ম-বহির্ভূতভাবে এবং আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে কারাবন্দী রাখা হয়েছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ভয়েস অব আমেরিকার এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।
জাতিসংঘ হিউম্যান রাইটস কাউন্সিলের সঙ্গে কাজ করা জেনেভা-ভিত্তিক ওয়ার্কিং গ্রুপ ওন আরবিট্রারি ডিটেনশন জানায়, পাকিস্তান কর্তৃপক্ষের ইমরানকে বন্দী রাখার ‘কোন আইনগত ভিত্তি নেই।’
পাঁচ-সদস্যের ওই গ্রুপ জানায়, ৭১-বছর বয়সীয় পাকিস্তানি নেতার কারাদণ্ড দ্য ইউনিভারসাল ডিক্লারেশন অব হিউম্যান রাইটস এবং দ্য ইন্টারন্যাশনাল কভেনান্ট অন সিভিল অ্যান্ড পলিটিকাল রাইটস-এর অন্তত ১২টি ধারা লঙ্ঘন করে।
গ্রুপটি জানায়, ‘ওয়ার্কিং গ্রুপ পাকিস্তান সরকারকে অনুরোধ জানাচ্ছে, অনতিবিলম্বে ইমরান খানের পরিস্থিতি সংশোধন করে তাকে সংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক নিয়মের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ করতে।’
ইমরান খানকে ২০২৩ সালের অগাস্ট মাসে দুর্নীতির অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করে তিন বছরের জেল দেয়া হয়। বিচার প্রক্রিয়া ত্রুটিতে ভরা ছিল বলে তিনি এবং স্বতন্ত্র আইন বিশেষজ্ঞরা ঘোষণা দেন। তবে তিন দিন পর, পাকিস্তান নির্বাচন কমিশন খানকে পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচনে অংশ নেয়া থেকে নিষিদ্ধ করে।
তোশাখানা মামলায় অভিযোগ করা হয় যে, ইমরান প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন পাওয়া উপহার তিনি ঘোষণা করেননি। তোশাখানা হচ্ছে একটি সরকারি দফতর যেখানে পাকিস্তানি নেতাদের সরকারি বিদেশ সফরের সময় পাওয়া উপহার সংরক্ষণ এবং প্রদর্শন করা হয়।
জাতিসংঘের গ্রুপ জানায়, বিচারকার্য শুরু থেকেই আইনের ভিত্তিতে হচ্ছিল না এবং ইমরান খানকে ‘রাজনৈতিক ক্ষমতার জন্য নির্বাচন থেকে নিষিদ্ধ করাই’ ছিল বেআইনি আটকাদেশের উদ্দেশ্য।
গত ২৫ মার্চ এই মত প্রকাশ করে জাতিসংঘের গ্রুপটি। তবে তা প্রকাশ্যে আসে গতকাল সোমবার। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে, উপযুক্ত সংশোধন হবে খানকে মুক্তি দিয়ে তাকে ক্ষতিপূরণ পাওয়ার প্রয়োগযোগ্য অধিকার দেওয়া।