• সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১০:৩০ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
বিএনপির দারুস সালাম থানা শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক সায়েম বহিষ্কার স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা হত্যার নিন্দা জানিয়েছেন মির্জা ফখরুল নির্দিষ্ট ফেডারেল চাকরিতে ডিগ্রির বাধ্যবাধকতা তুলে দিতে চান কমলা কারিগরি শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির জন্য ব্লকড অ্যাকাউন্ট সংশোধনের নির্দেশনা মির্জা ফখরুলের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনারের বৈঠক অতি দ্রুত যেন সংস্কারগুলো করা হয়: অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল ২৭৯ সিম কার্ড ও ৭৬ মুঠোফোনসহ হাতিয়ার ইউপি চেয়ারম্যান আটক আবু সাঈদ হত্যা: বরখাস্ত দুই পুলিশ সদস্যের ৪ দিনের রিমান্ড বিটিআরসির চেয়ারম্যান হলেন মেজর এমদাদ উল বারী সিরাজগঞ্জে দুই ভাইকে হত্যায় তিনজনের মৃত্যুদণ্ড
নোটিশ ::
Wellcome to our website...

চট্টগ্রামে জোড়া খুনের পেছনে ব্যবসা ও রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব

রিপোর্টারের নাম / ৯০ বার
আপডেট সময় :: শনিবার, ৩১ আগস্ট, ২০২৪

চট্টগ্রামের অক্সিজেন-কুয়াইশ সড়কে প্রকাশ্যে গুলি করে দুজনকে হত্যার পেছনে রয়েছে পূর্ববিরোধ। দুজনই স্থানীয় রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন এবং একে অপরের ঘনিষ্ঠ ছিলেন।

গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে চট্টগ্রামের অক্সিজেন-কুয়াইশ সড়কে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয় মোহাম্মদ আনিস (৩৮) ও মাসুদ কায়সারকে (৩২)। এলাকাবাসী জানান, আনিস ও মাসুদ স্থানীয় রাজনীতিতে হাটহাজারী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের নেতা ইউনুস গণি চৌধুরীর অনুসারী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তাঁরা চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার পশ্চিম কুয়াইশ এলাকার বাসিন্দা।

পুলিশ বলছে, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, ব্যবসা ও রাজনৈতিক মতাদর্শ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব রয়েছে। এ দ্বন্দ্বের জেরেই এক পক্ষের লোক তাঁদের দুজনের ওপর গুলি চালান। এ ঘটনায় হাটহাজারী থানায় পৃথক একটি মামলা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, অক্সিজেন-কুয়াইশ সড়কে হত্যার ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে। নিহত মাসুদের ভাই বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন।
আনিস ও মাসুদকে যে স্থানে গুলি করা হয়, সেটি নগরের পাঁচলাইশ ওয়ার্ড ও হাটহাজারী উপজেলার শিকারপুর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী এলাকা। এ এলাকায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি-জামায়াত–সমর্থিত আলাদা আলাদা রাজনৈতিক পক্ষ সক্রিয় রয়েছে। বালু ব্যবসাসহ বিভিন্ন বিষয়ে দ্বন্দ্ব স্পষ্ট ছিল পক্ষগুলোর মধ্যে।

এদিকে পেশায় পোলট্রি ব্যবসায়ী আনিস বালুর ব্যবসার সঙ্গেও জড়িত ছিলেন বলে জানিয়েছেন তাঁর শ্বশুর মোহাম্মদ শাহজাহান। তবে বালুর ব্যবসাকে ঘিরে এ ঘটনা হয়েছে কি না, তিনি জানেন না। তবে আনিসের সঙ্গে একটি পক্ষের কয়েক মাস আগে বিরোধ হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন তিনি।

হাটহাজারীর মদুনাঘাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক মুহাম্মদ মহিউদ্দিন সুমন প্রথম আলোকে বলেন, মাসুদ কায়সার হত্যার ঘটনায় করা মামলায় চারজনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও দুজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়। এর মধ্যে একজন নগরের পাঁচলাইশ থানার শীর্ষ সন্ত্রাসী মুহাম্মদ সাজ্জাদ। আসামিদের মধ্যে দুজন নিহত ব্যক্তিদের একই রাজনৈতিক দলের প্রতিপক্ষের লোক।

গতকাল দুপুরে নিহত আনিস ও মাসুদের বাড়িতে দেখা যায়, দুই বাড়িতেই শোক নেমে এসেছে। দুই ছেলে, স্ত্রী ও মায়ের সঙ্গে নিজ বাড়িতে থাকতেন আনিস। এদিন সেখানে কথা হয় আনিসের মা সায়রা বেগম ও স্ত্রী এনি আক্তারের সঙ্গে।

তাঁরা বলেন, ‘আনিসের সঙ্গে কারও শত্রুতা ছিল না। ঘর থেকে ডেকে নিয়ে তাঁকে মেরে ফেলেছে। আমরা এই সরকারের কাছে এ হত্যার বিচার চাই।’

গতকাল দুপুরে মাসুদের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, তাঁর মৃত্যুতে শোক নেমে এসেছে পুরো বাড়িতে। মাটিতে বসে কান্নায় বিলাপ করেছিলেন তাঁর খালা ইয়াসমিন আক্তার। তিনি বলেন, ‘আমার বোনের ছেলেকে এভাবে হত্যা করা হলো। আমি এর বিচার চাই। সে রাজনীতি করত, এটা অপরাধ? এর জন্য তাঁকে মেরে ফেলতে হবে?’


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর