কক্সবাজার প্রতিনিধি:প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনের ২৩ শত ৩ পরিবারের মধ্যে সরকারি সহায়তার চাল বিতরণ শুরু করা হয়েছে। মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘাত ও নাফনদীতে সেন্টমার্টিনগামি নৌ যানে গুলি বর্ষণের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে শুক্রবার কক্সবাজার শহর থেকে পন্য নিয়ে যাওয়া এমভি বার আউলিয়া জাহাজেই ছিল এসব চাল। শুক্রবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে দ্বীপে গিয়ে পৌঁছে এই জাহাজ। আর শনিবার সকাল দেখে চলছে এসব চাল বিতরণ।
সেন্টমাটিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানিয়েছেন, বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় জেলে প্রতি সরকারি চাল বিতরণের জন্য বরাদ্দ থেকে সেন্টমার্টিন দ্বীপের ৭৯৯ জন জেলে জনপ্রতি ৫৬ কেজি চাল পাচ্ছেন। ভিজিডির জনপ্রতি ৩০ কেজি করে পাচ্ছেন ৭৭২ জন, ভিজিএফের ১০ কেজি করে পাচ্ছেন ৫৩২ জন ও ঘূর্ণিঝড় রেমালের জেলা প্রশাসন থেকে প্রাপ্ত ১০ কেজি করে ২০০ জনকে চাল পাচ্ছেন। শনিবার সকাল থেকে বিতরণ শুরু হয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যে বিতরণ শেষ হবে এমনটা আশাচেয়ারম্যান জানান, গত কয়েকদিন ধরে সেন্টমার্টিন দ্বীপে খাদ্যপর্ণ সংকট চলছিল। এসব খাদ্য পণ্য পেয়ে সেন্টমার্টিন দ্বীপের মানুষ স্বস্তি বোধ করছেন।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মো. ইয়ামিন হোসেন জানিয়েছেন, মিয়ানমারের রাখাইনে চলমান সংঘাত ও সেন্টমার্টিন রুটে নৌ যানের উপর মিয়ানমার থেকে তিন দফায় গুলি বর্ষণের ঘটনায় ওই রুটে নৌ যান চলাচল বন্ধ হয়। যার কারণে দ্বীপের ১০ হাজার বাসিন্দাদের খাদ্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সংকট দেখা মিলে। বুধবার জেলা প্রশাসনের বিশেষ সভায় বিকল্প পথে সেন্টমার্টিনের যাতায়তের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এ সিদ্ধান্তের আলোকে বৃহস্পতিবার বঙ্গোপসাগরের সাবরাং মুন্ডার ডেইল উপকুল ব্যবহার করে সীমিত পরিসরে যাত্রীবাহি ট্রলার চলাচল শুরু করা হয়েছে। শুক্রবার থেকে খাদ্য পণ্য নিয়ে পাঠানো হয় কক্সবাজার শহরের বিআইডব্লিউটিএ ঘাট থেকে ‘এমভি বার আউলিয়া’ নামে একটি জাহাজে।